Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ব্ল্যাক ভাইরাস



    • হিয়া অর্ধ উলঙ্গ হয়ে কারো সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে ক্লাস রুমে,এমন সময় ক্লাসে ঢুকে পড়ে বোকা ছেলে দুদু মিয়া,আর দাঁড়িয়ে দেখছিলো হিয়ার চরম,,,,,,,,,,উত্তেজনা আর দুদু মিয়া ভয়েচিৎকার দিয়ে উঠে,দুদুর চিৎকার শুনে হিয়া চমকে যায়,আর ভয়ে তারাতাড়ি জামা পড়ে দুদু মিয়ার কাছে আসে,হিয়া ভয়ে ভয়ে দুদু মিয়ার কাছে আসেহিয়া; আপনি কে?--হামি হামি দুদুদু,,,,(চোখ বড় বড় করে)হিয়া; প্লিজ ভাইয়া কাউ কে কিছু বলবেন না,আপনি কে বলেন?---হামি হামি দুদুদু,এবার হিয়া রেগে বলল আরে আপনি যা দেখার দেখছেন তো আবার বলছেন কেনো,--না, বলছি মানে আমি দুদু মিয়া;হিয়া; কি মিয়া,---দুদু মিয়া,---ফাইজলামি করেন আমার সাথে,---এই যে আমার আইডি কার্ড দেখেন, আচ্ছা আপনি কি করছিলেন--ঐ তো মেমেকাপ ঠিক করছিলাম,--ও এই ভাবে বুঝি মেকাপ ঠিক করে,হিয়া; আচ্ছা আপনি কোন ডিপার্টমেন্টের,--আমি এই ডিপার্টমেন্টের আজই নতুম আসছি,হিয়া; মানে--মানে আমি ট্রান্সফার হয়ে আসছি,হিয়া; ও তাহলে তো আমরা একই ডিপার্টমেন্টে আমরা!  প্লিজ কাউ কে বলো না,দুদু মিয়া দাঁত বের করে একটা হাসি দিয়ে আচ্ছা বলব না,হিয়ার কাছে বিচ্ছিরি লাগলেও কিছু করার নাই, মেনে নিতেই হবে,হিয়া; আচ্ছা এত সকালে আসছো কেনো,?--আমি নতুন তো তাই চিনি না জানি না, তাই আর কি,হিয়া অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী, ইউনিভার্সিটির ১০টা সুন্দরী মেয়ের মধ্যে হিয়া একজন,আর দুদু মিয়া হাবা,বোকা একটা ছেলে ঢিলেঢালা ফুল হাতা শার্ট গায়ে,বাচ্চাদের মত মাথায় শীথি করা,আর স্কুলের বাচ্চাদের মত ব্যাগ কাধে,দেখতে অদ্ভূত ২০১৯ সালে এমন ছেলে আছে, ভাবতেই অবাক লাগে,যাক সে কথা আবার গল্পে ফিরে আসি,একে একে সব স্টুডেন্ট চলে আসে আর ১০টায় ক্লাস শুরু হয়,রফিক স্যার প্রথম ক্লাস নেয় এসে সবার দিকে তাকাতে নতুন মুখ দেখতে পায়,রফিক স্যার; এই তুমি কে, তোমাকে তো আগে দেখি নাই, নাম কি?---স্যার আমি দুদু,---হ্যাঁ, কি নাম--স্যার আমি দুদু মিয়া,সবাই হোহো করে হেসে দেয় নাম শুনে,স্যার সবাই কে থামিয়ে,---তা দুদু কি করো,,,এই কথা শুনে স্যারের মুখের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে,আর স্যার বেপার টা বুঝতে পারলো তাই কাশি দিয়ে বললেন, মানে বলতে চাইছি, তুমি বসে কি করছিলে,।আচ্ছা বাদ দেও,তোমাকে তো আগে দেখি নাই,দুদু মিয়া; স্যার আমি আজই ট্রান্সফার নিয়ে এই ইউনিভার্সিটিতে আসছি,স্যার; আচ্ছা বসো,সন্ধ্যা ৭টায় হিয়া ফোন টা হাতে নেয়, দেখে ৬০টা মিস কল, আর ফোনে টাকা না থাকায় তখন ফেসবুক লগইন করে,দেখে ১০০+ মেসেজ দেখে অবাকই হয়ে যায়,অনেকে মেসেজ করছে সব এমনআপু short Film টা কিন্তু অস্থির হয়ছে, আরো দেখে আপনি এত হট কেনো,আরো নিচের দেখে ফ্রেন্ডরা মেসেজ করছে,হিয়া এই সব কি ভিডিও পিক দেখলাম।তুই এমন বিশ্বাস করতেও কস্ট হচ্ছে,হিয়া খুব চিন্তায় পড়ে যায়, যে কি হয়ছে,এমন সময় একজন একটা ভিডিও পাঠায় আর সেই ভিডিও তে হিয়া,যে টা আজ সকালের,তাহলে কি দুদু মিয়া কি?ভেবে আবার টাইমলাইন দেখতে লাগলো, আর যা দেখলো তা হল লিমনের আইডি থেকে নুড ভিডিওটা আপলোড করা হয়েছে, আবার হিয়া কে ট্যাগ করা হয়েছে,হিয়া মুহুর্তেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়,লিমন যে এমন করবে তা স্বপ্নেও ভাবতেও পারে নাই হিয়া,হিয়া বাহিরে যেতে পারে না, হিয়ার বড় আপু রিয়া এসে বলে তুই এত টা জঘন্য কাজ করবি তা কোন দিন ভাবতে পারি নাই, যদি বাবা মা জানতে পারে কি হবে জানিস,আমার তো মনে হয় না এই সব গোপন থাকবে না,২ ঘন্টায় ২০ হাজার লাইক, শেয়ার ২৫ হাজার আর কমেন্ট তো বলার বাহিরে,ছেলে টা কে নাম বল ঠিকানা দে, আমি কথা বলবো,হিয়া তার বড় আপু রিয়া ঠিকানা দেয়, তারপর ফোন দেয় লিমন কে কিন্ত লিমনের ফোন বন্ধ, সারা রাত ট্রাই করে কিন্ত লিমনের ফোন অফ।হিয়া বাড়ি থেকে লজ্জায় বের হতে পারে না,হিয়ার বড় রিয়া পরেরদিন লিমনের বাসায় যায়, সাথে হিয়া কে নিয়ে যায়,বাসার সামনে রিক্সা থেকে নেমে দেখে অনেক মানুষ বাসায় আর কিছু একটাবলাবলি করছে,দুই বোন বাসার ভিতরে যায়, কিন্ত ঘর ভর্তি মানুষ আর পুলিশও দেখা যাচ্ছে,হিয়া আর একটু এগিয়ে যায় মানুষজন কিছু একটা ভিড় করে দেখছে,হিয়া ভিড় ঠেলে ভিতরে যেতেই দেখে,লিমনের দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে আছে,মানে লিমন খুন হয়েছে,লিমনের সারা শরীরে পেরেক মারা আর লিমনের পুরুষাঙ্গ তে ২টা পেরেক মারা,আর বুকের উপর চামড়া কেটে লিখা ব্ল্যাক ভাইরাস!
      রাজের সেক্স ভিডিও তুমি ভাইরাল করছো, আসলে তুমি কে রিয়াদ?মাইশার কথা শুনে রিয়াদ বলল,তুমি এই সব কি কইতাছো আমি দুদু মিয়া, তোমার কথার আগা মাথা কিছু বুঝতাছি না,আর সেক্স ভিডিও কি?
      মাইশা চোখ দুটো বন্ধ করে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে নিয়ে বলল সরি সরি আসলে আমার মাথা ঠিক নেই,
      রিয়াদ; আমি এখন কি করব?
      মাইশা; কি করবা মানে?
      রিয়াদ ; মাইশা তুমি কি আমাকে সন্দেহ করো,মাইশা চুপ করে আছে কোন কথা বলছে না,রিয়াদ বলল, আমি তোমাকে ভালবাসি কিন্ত সেটা আমার মনেই থাকে গোপনে, তাই বলে আমি এই রকম কিছু করব না,আর আমার এত সাহস নাই,আমি তোমাকে ভালবাসি,তোমাকে বাসতে হবে না, আর এটাও জানি তুমি কোন দিন ভালবাসবে না, তাই আমি একাই নিরবে ভালবেসে যাবো,কথা গুলো মাইশা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুনলো কিন্ত কোন রেসপন্স নাই,
      রিয়াদের মত রিয়াদ কথা বলে উঠে চলে গেলো,এই দিকে রাজের খুন নিয়ে কলেজে হইচই পড়ে গেছে,,,সবাই বলছে কাজ টা কলেজের কেউ করেছে, আবার নাকি কয়েকজন কে ধরেছে! আর যদি ঐ ল্যাপটপ টা না থাকতো আরও অনেক ধরাধরি হতো,ল্যাপটপ টা থাকার জন্য আসল সত্যি টা সবার সামনে এসেছে,যার মাইশাও বেঁচে গিয়েছে,কারন মাইশাও রাজের শিকার ছিলো,রাজ খুন হওয়ার পর সারা কলেজে সিসিক্যামেরা লাগানো হয়, ৫দিন পর,,,,৫দিন দুদু মিয়া কলেজে আসে,ক্লাসে ঢুকতেই,, কিছু বখাটে ছেলে দুদু মিয়া কে ডাকে
      --এই যে দুধ দুধ,
      --ভাইয়া আমার নাম দুধ দুধ না, আমার দুদু মিয়া,
      আরেকজন বলে,,,, তা ছোট ভাই তুমি কি জানো কলেজে সিসি ক্যামেরা লাগলো হয়েছে,,
      দুদু মিয়া; না তো ভাইয়া,,
      সবাই ঐ সিসি ক্যামেরায় সামনে যেয়ে নিজের পরিচয় বলতে হয় আর চোখ মারতে হয়, আর একটা পাসওয়ার্ড বলতে হয়,
      দুদু মিয়া; এ ভাই আমাকে বোকা বানাবেন না, ফেসবুকে যাইতে পাসওয়ার্ড লাগে আমি, এখানে কিসের পাসওয়ার্ড-
      এক বখাটে বলল,, আরে ছোট ভাই তুমি যে দুদু মিয়া সেটার পাসওয়ার্ড,
      দুদু মিয়া ; না আমি বলমু না,না হলে সবাই বলবে তুমি ব্ল্যাক ভাইরাস,,
      দুদু মিয়া; আল্লাহ তাই নাকি, ভাই আগে আমার পরিচয় টা দিয়া আসি, ভাই পাসওয়ার্ড টা কি
      ---- পাসওয়ার্ড হল i love you,
      বোকা দুদু মিয়া কি জানতো, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কোন ম্যাডাম,,
      সিসি ক্যামেরার সামনে গিয়ে,,
      হাই, আমি দুদু মিয়া,আমি অনেক চালাক একটা পোলা,,, কিন্ত সবাই বোকা বলে,,, তখন দুদু মিয়া মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল i Love you, আমি কিন্ত ব্ল্যাক ভাইরাস না,এমন সময় একটা চশমা পড়া ছেলে এসে বলল, সরি ম্যাম এটা রাগিং ছিলো,
      আর ছেলে টা বখাটেদের বলল, ব্ল্যাক ভাইরাস নিয়ে মজা করো না, এর ফল কিন্ত ভাল হবে না,।ব্ল্যাক ভাইরাসের কথা শুনে সবাই চুপ করে চলে যায়,আর ছেলে টা দুদু মিয়া কে ধমক দিয়ে বলল তুমি তো আসলেই একটা গাধা,তুমি জানো কি হতো যদি এখন না আসতাম,এই ব্ল্যাক ভাইরাসের কথা আর একবারও উচ্চারণ করবে না, এখন যাও, দুদু মিয়া; আচ্ছা ভাইয়া আপনার নাম কি?
      --আমার নাম পলাশ,,,যাও তুমি এখন,পলাশ ছেলেটি কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে, কিন্ত কেউ বলতে পারে না পলাশ কে সারাদিন ফোন নিয়ে পড়ে থাকে,কারো সাথে তেমন কোন কথাও বলে না,
      দুদু মিয়া একা ক্লাসে বসে মাইশা কে ছাড়া ভাল লাগছে না,কিন্ত কিছুদিন হল মাইশাও আসছে না, ফোন টাও অফ,দুদু মিয়া ক্লাস না করে বেরিয়ে যায়, যেখানেই যায় ভালো লাগে না,এই ভাবে ৪-৫দিন কেটে গেলো মাইশার কোন খবর নেই,দুদু মিয়া ক্যাম্পাসে বসে ফোনে কথা বলছিলো এমন সময় পিছন থেকে মাইশা এসে বলল কি gf এর সাথে কথা হচ্ছে,মাইশার উপস্থিতে রিয়াদের মুখ ফেকাসে হয়ে গেলো,
      মাইশা; কি ব্যাপার এমন হা করে কি দেখছো!  ভূত দেখার মত,
       দুদু মিয়া 'মনে মনে' ফোনে কি কথা বলছিলা হয়তো শুনতে পায়নি,
      মাইশা; কি ব্যাপার বলছো না কেনো কার সাথে কথা বলছিলে,
      দুদু মিয়া; ওই তো মা- মায়ের সাথে কথা বলছিলাম,দুদু মিয়া কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত আছে তা মাইশা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে,কারন অনেক দিন পর দেখা হল দুদু মিয়ার কোন রেসপন্স নেই,
      মাইশা বলল  দুদু মিয়া কোন কিছু বলছো না কেনো, আমি কি তোমাকে বিরক্ত করলাম আমি চলে যাবো! 
       দুদু মিয়া; একটু বসো আমি ফোনে কথা বলে আসছি, বলে  দুদু মিয়া চলে গেলো ফোনে কথা বলতে,মাইশা কিছুই বুঝতে পারলো না, দুদু মিয়া কেমন জানি হয়ে গেছে এই কয়দিনে নাকি রাগ করে আছে,যাক কিছুক্ষন পর আসলো  দুদু মিয়া,এসে বলল,এত দিন কই ছিলা মাইশা,
      মাইশা; আমার একটা কাজ ছিলো তাই আসতে পারি নাই,
       দুদু মিয়া; ফোন অফ ছিলো কেনো,
      মাইশা; এমনি,  দুদু মিয়া ; আমি আজ একটা কথা বলতে চাই,
      --কি বলো,--আমি তোমাকে ভালবাসি আর তোমাকেও ভালবাসতে হবে আমি আর পারছি না, তোমাকে ছাড়া,--  দুদু মিয়া তুমি কি পাগল, এটা তো আমাদের কথা ছিলো না,--কথা ছিলো না, কিন্ত আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি, (মাইশার হাত ধরে বলল)--  দুদু মিয়া হাত ছাড়ো, ক্যাম্পাসে কোন হাঙামা করো না, পুলিশ আছে পাশেই।
      রাজের ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে সব সময় পুলিশ থাকে।
      মাইশা খুব রেগে বলল, তুই ভাবলি কি করে তোর মত বোকা আবুল মার্কা ছেলের সাথে আমি প্রেম করব, তোর সাথে আমার যায়, তোর দিকে তাকিয়ে দেখ আর আমার দিকে তাকিয়ে দেখ,  দুদু মিয়া তখন উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকে,এক সময় দুজনের কথা কাটাকাটির মাঝখানে পুলিশ এসে যায়,পুলিশ আসতেই মাইশা বলে বসলো স্যার এই ছেলেটা আমাকে ইফটিচিংকরছে,  দুদু মিয়া কে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়,পরের দিন,,,ইউনিভার্সিটিতে একটা ফাংশন ছিলো, দুদু মিয়া ডিপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে কানে মিনি ব্লুটুথ হেডফোন লাগানো,নীল রঙের শাড়ি পড়ে একটা মেয়ে ঘুরাঘুরি করছে দেখতে অনেক স্মার্ট সুন্দরী, কিন্ত সেদিকে  দুদু মিয়ার কোন নজর নেই,মেয়েটি এক সময়  দুদু মিয়ার সামনে এসে দাঁড়ায়, কি ব্যাপার  দুদু মিয়া তোমাকে না কাল পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো,
       দুদু মিয়া; আপনি কে?--আরে আমাকে চিনতে পারছো না, আমি মাইশা,। দুদু মিয়া শুধু পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো,মাইশা আবার কিছু বলতে যাবে এমন স্যার বলতে লাগলো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের সকল স্টুডেন্ট ৫মিনিট এর মধ্যে তোমরা তোমাদের ক্লাস রুমে উপস্থিত হও,সবাই ৫মিনিটের মধ্যে হাজির,  দুদু মিয়ার পাশে মাইশা বসেছে,স্যার এসে বলল সবাই সাইলেন্ট আমি কিছু কথা বলব, ক্লাস রুম একদম নিরব, এমন সময়  দুদু মিয়া একাই বলছে মিশন start, সবাই এলাট, প্লান A and B,স্যার , কার এত বড় সাহস, পাশ থেকে মাইশা বলল, চুপ স্যার আসছে  দুদু মিয়া,কিন্ত যা ঘটলো তা দেখে সবাই অবাক,  দুদু মিয়া নিজের কোমর থেকে একটারিভালবার বের করে দিলো এক দৌড়,,,,,,,,,
       দুদু মিয়া কোমর থেকে একটা রিভালবার বের করে সরি বলে দৌড় দেয়,এদিকে ক্লাসের স্যার সহ সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে যে এটা কি দেখলাম, অনেকে নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতেও কস্ট হচ্ছে,সবার মত মাইশাও গোলোক ধাধায় পড়ে যায়,এটা কি ছিলো? কি হল?কি দেখলাম? দুদু মিয়া কই গেলো তা দেখার জন্য, মাইশা বাহিরে যায়, কলেজে হইচই পড়ে গেছে আর মুহূর্তের মধ্যে কলেজে অনেক গুলো পুলিশের গাড়ি আসে,কিছুক্ষন পর প্রায় ৪০-৫০জন লোক এক জায়গায় একত্র হল,আর সবার হাতে রিভালবার আর কানে হেডফোন, আর যা দেখা যাচ্ছে তা হল তারা ১২ জন কে ধরেছে, আর একজন স্পট ডেটথ, যা মনে হচ্ছে এটা একটা সিক্রেট মিশন ছিলো,কলেজের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিলো। 
      একটু পর স্টেজে দুদু মিয়া কে দেখা যায় মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ফু দেয়, তারপর, আসসালামু আলাইকুম, সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের আনন্দ মাটি করার জন্য,এই কলেজে আমাকে অনেকে চিনেন দুদু মিয়া নামে কিন্ত আমি দুদু মিয়া না,আমি এস,আই রানা,তখন রানা বলেন এই কলেজে বড় ধরেনের একটা ক্রাইম হতে চলেছিল আমরা গোয়েন্দার মাধ্যমে জানতে পারি, আর এদের ধরতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়,আজকের দিন টা বেছে নেওয়া হয় তার কারন হল, এরা সব সময় একত্রে থাকে না আজই এরা একত্র হবে আমাদের কাছে খবর ছিলো, এর মধ্যে একজন বলে স্যার এই ব্ল্যাক ভাইরাস টা কে?তখন দুদু মিয়া বলে সরি দুদু মিয়া না রানা বলে, ব্ল্যাক ভাইরাস সম্পর্কে এখন কিছু বলতে চাই না, এটার দায়িত্বে অন্য অফিসার আছে,আপনাদের আর কোন ভয় নেই, আপনাদের অনুষ্ঠান শুরু করতে পারেন,ধন্যবাদ, বলে রানা স্টেজ থেকে নেমে যায়,এই দিকে মাইশা রানার সাথে কথা বলতে চায়,কিন্ত কোন ভাবে রানার কাছে পৌছাতে পারে না, তার আগে গাড়িতে উঠে চলে যায়,
      রাতে মাইশা ফোন দেয় রানা কে,কিন্ত ১০বার ফোন দেওয়ার পরেও,রানা ফোন রিসিভ করে না,মাইশা হতাশ হয়ে ফোন রেখে শুয়ে পড়ে,আর ভাবতে থাকে হয়তো দুদু মিয়াকে কে আর সরি বলা হবে না,কারন ঐ দিন মাইশা পুলিশ কে বলেছিলো এই ছেলে আমাকে ইভটিজিং করছে, কিন্ত তারপর মাইশা থানায় যায় কিন্ত পায় না দুদু মিয়া কে তারা কিছু বলতেই পারলো না,আর অনুষ্ঠানের দিন মুলত দুদু মিয়া কে সরি বলতে আসছিল নীল শাড়ি পড়ে আর কিছু না বলা মনের কথা বলতে,মুল গল্পে ফিরে যাই,
      মাইশা ফোন রেখে,শুয়ে ভাবতে থাকে  দুদু মিয়ার কথা, এমন সময় মাইশার ফোন টা বেজে উঠে,মাইশা দৌড়ে গিয়ে ফোন টা হাতে নেয়,ফোনের ডিসপ্লেতে দুদু মিয়ার নাম ভাসছে,মাইশা ফোন টা রিসিভ করে কানে ধরতেই মোটা ভারি কন্ঠে বলে উঠলো কে আপনি বার ফোন বার দিচ্ছেন,
      মাইশা; আমি মাইশা, রানা--আপনি ফোন দিয়েছেন কেনো?---এতদিন তুমি করে বলতা আজ আপনি বলছো কেনো,
      রানা--আগের আমি আর এখনকার আমি এক না,
      ---দুদু মিয়া আমি তোমার সাথে দেখা কর‍তে চাই?
      রানা; আমি দুদু মিয়া না, আমি রানা।
      ---তুমি আমার কাছে  দুদু মিয়া, কাল ক্যাম্পাসে আসবা তো,রানা;;;আমার হাতে সময় নেই,
      --তাহলে আমি থানায় আসবো,
      রানা; না, তা আসার দরকার নেই, আসবো আমি,বলে ফোন টা কেটে দেয় রানা,
      মাইশা নিজে নিজেই রেগে সালা পুলিশ না হলে ফোনের মধ্যে ঢুকেই মারতাম, আর বলতাম সালা আর ফোন কাটবি, কাল সরি বলেই আমি কেটে পড়বো, কারো কাছে অপরাধী থাকতে পারব না,,,নয় আবার পড়ে পড়ে গান গাইবে,, ম্যাইয়া রে ম্যাইয়া রে তুই অপরাধী রে,,,আমার যত্ন গড়া ভালবাসা দে ফিরাইয়া দে,,,,,না বাবা আমি এই অপরাধী হতে চাই না,কাল সকাল সকাল যেয়ে সরি বলে চলে আসবো,,, এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমের ঘরে ঢলেপড়ে মাইশা,
      সকালে ঘুম ভাঙতেই ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৯.৩০টা বাজে,,,,মাইশা; ও আল্লাহ দুদু মিয়ার সাথে ১০টায় দেখা করার কথা এখন কি হবে,,,,মাইশা তারাতাড়ি উঠে সাজুগুজু করে চলে গেলো ক্যাম্পাসে, ১১টা বাজে কিন্ত দুদু মিয়ার কোন খবর নেই,এসে চলেই গেছি নাকি আল্লাহই জানে,
      মাইশা তখন ফোন টা বের করে ফোন দেয় দুদু মিয়া কে,
      মাইশা; হ্যালো স্যার আপনি কই?
       রানা; ৫মিনিট লাগবে আসতে,
      মাইশা; হুম আসেন,একটু সময়ের মূল্য দিতে শিখেন,বলে ফোন কেটে দেয়,
      কিছুক্ষন পর মাইশার চোখ গেটের দিকে পড়ে এমন সময় দুদু মিয়া বাইক নিয়ে কলেজে ঢুকে, এই সালা দুদু মিয়া যে বাইক চালাতে পারে তা তো আগে জানতাম না,মাথায় সেই আর আগের বোকা সিথি নেই, চুলে জেল লাগাইছে, চোখে কালো সানগ্লাস, আগে হয়তো মেকাপ করতো আগের তুলনায় গায়ের রঙ অনেকটাই উজ্জল, গায়ে হোয়াইট টি-শার্ট আবার জিন্স প্যান্ট পড়ছে দেখি,দেখতে কাছে চলে আসে দুদু মিয়া,কিন্ত আজ দুদু মিয়া কে দেখেই মাইশার মনে প্রেমের ঘন্টা বেজে গেছে,দুদু মিয়া যতই কাছে আসছে ততই ভালবাসার ঝড় বইছে মনে,মনের ভেতর অজানা এক অনুভূতি কাজ করতে থাকে,
      দুদু মিয়া এসেই কি বলবেন বলেন,, খুব তারাহুরো করে কথা টা বলল,
      মাইশা; এত তারা কিসের বাসায় কি বউ রেখে আসছো,
      দুদু মিয়া; এই ফাউ পেচাল পারার জন্য আসতে বলছিলেন,
      মাইশা; তা হবে কেনো,সেদিন তো সিরিয়াস কিছু বলতে আসছিলাম,কিন্ত তার আগেই আসল রুপ দেখিয়ে দিলে,তা আমার সাথে পরিচয় টাও কি অভিনয় ছিলো,
      দুদু মিয়া কিছু বলতে পারছে না, কারন দুদু মিয়াও মাইশার প্রতি দুর্বল, দুদু মিয়াও মাইশার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায়,কিন্ত যত দেখছে ততই আরো মাইশার মায়া জালে আবদ্ধ হচ্ছে,দুদু মিয়া আবার আমাকে কি জন্য ডাকছেন তাই বলেন,
      এখন মাইশা ভাবছে কি বলবে,এখন কি বলা উচিত, এমন সময় দুদু মিয়া ধমক দেয়, কিছু বলছেন না কেনো,
      মাইশা ধমক খেয়ে বলে দেয় খুব দ্রুত আমি তোমাকে ভালবাসি,,,,,
      দুদু মিয়া শুনে অবাক তাই আবার জিজ্ঞেস করলো কি বললেন আপনি,এখন মাইশা ভয়ে বলে ফেলছে ভালবাসি,ভয়ে বললেও সত্যি কথাই বলছে,
      মাইশা ; তুমি ভুল কিছু শুনো নি,

      দুদু মিয়া; ভালই তো অভিনয় করতে পারেন দেখি,কিছুদিন আগে কি বলছিলেন,যখন আমি দুদু মিয়া ছিলাম,
      মাইশা; তখন তো তুমি দুদু মিয়া ছিলা,একটা বোকার বাক্স ছিলা,
      দুদু মিয়া তখন বাহ খুব ভালো, এখন যদি আমার চাইতে ভালো ছেলে দেখো তখন তো তার সাথেই,,,,,,,,? আর এটাই তোমাদের মত মেয়েদের স্বভাব,,,
      মাইশা আঙুল তোলে এই কথা হুস করে বলবা,বোকা ছেলে কে কোন মেয়ে ভালবাসবে হে,,,
      দুদু মিয়া; কেনো আমাকে কি তখন ঠিক করে নেওয়া যেতো না,একবার চেস্টা করে দেখতে,
      মাইশা; সেটাই তো আমার ভুল হয়ছে,, সরি অন্য দিকে মাইশা মুখ করে,
      দুদু মিয়া; এখন বলে লাভ নাই,
      মাইশা; আরে স্যার সরি বললাম তো,
      দুদু মিয়া ; বললাম না বলে লাভ নাই,,আমার বউ আছে, আমি বিবাহিত,
      বলে দুদু মিয়া চলে গেলো,
      মাইশা রেগে আগুন আর রাগে একা একা বক বক করতে লাগলো সালা তুই বিবাহিত আগে বলবি না,,,,,ইচ্ছে করছে মেরে ফেলি,,,,কিছুক্ষন একা বসে রইলো আর ভাবলো যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে, এত কথা বলল কেনো,বলে দিলেই হতো আমি বিবাহিত, তাহলে কি আমাকে বোকা বানিয়ে গেলো,দাঁড়া কাল থানায় যাবো আমি,,,,মাইশা বাসায় চলে যায়,,,,, দুদু মিয়া বাসায় যেতেই নেট টা অন করে ফেসবুকে যেতেই দেখে মাইশার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট,,,, তখন একটা কথা মনে পড়ে যায় রিয়াদেররাজ যে নুড পিক গুলো ভাইরাল করেছিলো তার সাথে তো মাইশার কোন মিল নেই,তাহলে ঐ নুড পিক কার,,,,,,,,,আর মাইশা কে,,,,,,,,,,,?রাজ যে নগ্ন পিক গুলো ভাইরাল করেছিলো তার সাথে তো মাইশার কোন মিল নেই,তাহলে ঐ নুড পিক কার,,,,,,,,,আর মাইশা কে,,,,,,,,,,,?দুদু মিয়ার মনে হল এই সব মাইশা কে জিজ্ঞেস করার,কিন্তু কি ভাবে করবে যদি,,,, থাক জিজ্ঞেস করার দরকার নাই,এত সুন্দরী ম্যাইয়া কি ভাবে খুনি হবে,এই ভাবতে ভাবতে বিছানায় গা হেলিয়ে দিতেই আবার লাফ দিয়ে উঠে পড়ে,কারন কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আর মেয়েটা দুদু মিয়ারকলেজের মেয়ে,দুদু মিয়া তখন ভাবতে থাকে নাম টা যেনো কি কি,ও মনে পড়েছে, নাম নীলিমা ব্ল্যাক ভাইরাস মেসেজ দিয়েছে তার পাপের ঘড়া পূর্ন হয়েছে, এবার তার মরার পালা, পরেরদিন,,,, সকাল বেলা ঘুমাচ্ছে দুদু মিয়া এমন সময় ফোন টা বেজে উঠে,দুদু মিয়া ফোন টা রিসিভ করতে যাবে এমন সময় রিমি এসে ফোন টা রিসিভ করে,(রিমি হল দুদু মিয়ার ছোট বোন)
      রিমি; হ্যালো কে,ভাইয়া ঘুমাচ্ছে?
      --আমি থানা থেকে বলছি,,
      রিমি; রাসেল ভাই, আপনি কি বলেন,
      ---স্যার কে বলো ম্যাডাম আসছে,
      রিমি; নতুন ম্যাডাম আসছে, দেখতে কেমন,
      ---এই ম্যাডাম সেই ম্যাডাম না,
      রিমি; তাহলে?
      --একটি খুবই সুন্দরী মেয়ে আসছে আর এসে বলল আমি SI রানার স্ত্রী, স্যার আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করলেন,তুমিও জানালে না,
      মাইশা ফোন টা কানে ধরে হা করে তাকিয়ে আছে দুদু মিয়ার দিকে,,,,
      দুদু মিয়া; কে ফোন করছিলো রে রিমি,
      রিমি; ভাইয়া তুই এই টা করতে পারলি,
      দুদু মিয়া / কি করছি,
      রিমি; তুই আমার ভাই না,আসলেই আমার মা বাবা তোরে কুড়িয়ে পাইছে,
      দুদু মিয়া; দেখ রিমি ঘুমাতে দে,বিরক্ত করবি না,
      রিমি; বিয়ে করে এখন তো ঘুমাবি
      দুদু মিয়া ; দেখ রিমি, এখন কিন্ত সত্যি মাইর খাবি,কে বলছে আমি বিয়ে করছি,
      রিমি; আল্লাহ আল্লাহ যদি আমি এখন ম্যানি ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করতে না আসতাম তাহলে তো কিছুই জানতে পারতাম না, আল্লাহ তার জন্যই আমাকে প্রতিদিন তোর ম্যানি ব্যাগ থেকে চুরি করতে পাঠায়,
      দুদু মিয়া ; তুই আমার ম্যানি ব্যাগ থেকে প্রতিদিন টাকা নেস তাহলে দাঁড়া আজ তোর খবর আছে,,,,
      রিমি; চুপ ,দাঁড়া আমি আম্মা কে এখনি বলতাছি,তুই বিয়ে করছিস,আম্মা ও মা আম্মা,
      দুদু মিয়া ; মা কে ডাকিস না আগে বল,কি হয়ছে,,,,আম্মা রান্না থেকে এসে কি হয়ছে,
      দুদু মিয়া; তোমার মেয়ে প্রতিদিন আমার পকেট থেকে টাকা চুরি করে,,,,
      মা; তোরে কে বললো,
      দুদু মিয়া; চোর আজ নিজেই শিকার করছে, তোমার আদরের কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে,
      রিমি; আমারে না তোরে কুড়িয়ে পাইছে, ঐ যে পচা ময়লা ফেলে ব্রিজের নিচে পড়ে ছিলি, সেই খান থেকে তোরে আমার মা বাবা পাইছে,
      মা; তোদের এই ঝগড়া আর ভালো লাগে না,
      রিমি; মা আসল কথা তো শুনলা না,
      মা; আসল কথা কি আবার
      রিমি; তোমার ছেলে তো বিয়ে করছে আমাদের না জানাইয়া,
      মা; কি কস এই গুলা, ফাইজলামির কিন্ত একটা সিমা থাকে,
      রিমি; বিশ্বাস হচ্ছে না,থানা থেকে রাসেল ভাই ফোন করে বলল, একটা মেয়ে আসছে আর সে বলছে সে নাকি ভাইয়ার বউ অনেক সুন্দর,,
      দুদু মিয়া কপালে হাত দিয়ে কারে কি শুনাইলো,
      মা; রিমি যা তো আমার e টা নিয়ে আয়,
      রিমি; মা E টা কি?
      মা; আমার ফোন টা নিয়ে আয়,
      রিমি; কি করবা মা ফোন দিয়ে।
      মা; সে টা তোকে বলতে হবে,(ধমক দিয়ে)
      দুদু মিয়া আজ এমন করছে কেনো, নিশ্চিত মাইশা থানায় আসছে,
      রিমি/ এই ফোন নাও,
      মা রিমি কে বলল হা করে কি দেখছিস রাসেল কে ফোন করে বল মেয়ে টা কে নিয়ে আসতে বল বাড়িতে,,,,,,
      দুদু মিয়া; মা আমি বিয়ে করি নাই,,
      মা; বিয়ে করিস নাই ভালো নিয়ে আয় আমি কাজী ডেকে বিয়ে দেই,,,,
      রিমি; ভাবছিলাম ভাবি আমি চয়েস করব,
      মা; তুই কি চয়েস করবি,
      রিমি; আমার দল ভারি করতে হবে না,
      মা; তুই আছিস তোর চিন্তা নিয়ে,,, আচ্ছা রানা তুই কি সত্যি বিয়ে করছিস,
      দুদু মিয়া ; তুমি এটা বলতে পারলা,
      মা; আচ্ছা আচ্ছা কিন্ত কত মেয়ে দেখাইলাম কিন্ত তোর পছন্দ হয় না,
      দুদু মিয়া ; আচ্ছা আমাকে এখন থানাতে যেতে হবে,
      রিমি; আমিও তোর সাথে যাবো,
      দুদু মিয়া; একদম না,
      রিমি; আমি ভাবি কে দেখবো শুধু, মা বলো না তুমি ভাইয়া কে?.
      মা / দুদু মিয়া যখন বলছে তাহলে থাক,,,
      দুদু মিয়ার বাবা নেই, মা আর ছোট একটা বোন, বোন টা ইন্টারে পড়ে,,,
      পুলিশ নীলিমা কে শতর্ক করে দিলো আর সাবধানে চলা ফেরা করতে বলল,
      কিন্ত নীলিমা সে সব একদম ধার ধারে না,উল্ট আরো বলে ব্ল্যাক ভাইরাস আসলে আমি বুঝাই দিবো কত ধানে কত চাল,
      এদিকে দুদু মিয়া থানায় যায়,,,,,,গিয়ে দেখে মাইশা বসে আছে,,,,,
      দুদু মিয়া/কি ব্যাপার আপনি এখানে কেনো,
      মাইশা; ঘোষ দিতে আসলাম,
      --কি জন্য,
      --আমাকে ভালবাসতে হবে তোমরা পুলিশরা ঘোষ দিলে তো সব করে দেও,
      ---মাইশা তুমি কিন্ত সিমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো,এটা কিন্ত থানা যা ইচ্ছে তাই বলতে পারো না,
      ---সরি সরি,আচ্ছা বলব না,চলে একটু বাহিরে যাই ঘুরে আসি,
      --আমি ডিউটিতে আছি এখন,
      --তোমার ডিউটি শুরু হতে এখনো ১ঘন্টা,, ---পুলিশের কোন ডিউটি সময় মেনে হয় না,--অকে তাহলে আমিও এখান থেকে যাচ্ছি না,,,,বলে মাইশা আরও ভাল করে বসে,,,
       দুদু মিয়া; আচ্ছা চল,,,
      রাত ৩টা বাজে নির্জন শহর কোন শব্দ নেই,কারো পায়ের শব্দ শুনতে পায় নীলিমা,আস্তে আস্তে নিজের বিছানা থেকে উঠে আর বালিশের নিচে থাকা পিস্তল টা হাতে নেয়,,,,তারপর সামনের দিকে এগিয়ে যায়,আর খোঁজতে থাকে, কিন্ত কোথাও কেউ নাই,সারা ঘর খোঁজে দেখে কোথাও কেউ নেই,,,তাই একটু ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ায় আর ফোন টা বের করে কেউ ফোন দিবে এমন সময় গার্ডেনের দিকে চোখ যায় কেউ একজন উপরের দিকে উঁকি মারছে,নীলিমা তখন এক মুহূর্তেও দেরি করে না,সাথে সাথে বাগানে চলে যায়,আর পা টিপে টিপে কাছে গিয়ে পিস্তল টা তাক করে ধরে,,,
      আর একটু কাছে গিয়ে দেখে এস আই রানা(দুদু মিয়া)
      নীলিমা তখন আরে এস আই রানা যে এত রাতে এখানে কি চাই,,আমাকে পাহাড়া দিচ্ছো বুঝি,নাকি তুমি ব্ল্যাক ভাইরাস,, কিন্ত রানা চুপ করে আছে কোন কথা বলছে না,,
      নীলিমা আবার বলে কি হল কথা বলো, আর আমাকে পাহারা দিতে হবে না,তুমি যখন চলেই আসছো চল আমার বেডরুমে তোমাকে খুশি করে দেই,তোমাকে আমার মনে ধরছে,
      কিন্ত ওদিক থেকে কোন কথা বলছে না,,,
      নীলিমা আবার বলে ভয় পেয়েও না বাসায় কেউ নেই চল,তোমাকে খুশি করি,,,বলে নীলিমা রানার হাত ধরে টান দিবে কিন্ত রানার হাত ধরতে পারছে না,আবার শরীরের উপর হাত দেয় ধরা যায় না, নীলিমা বুঝতে পারলো এটা হলোগ্রাফি, আর এটা একটা ফাঁদ পিছনে ফিরে থাকাতেই দেখে কালো পোশাক পরা একজন দাঁড়িয়ে আছে মুখে মাস্ক পড়া, নীলিমার থেকে ১ ইঞ্চি দূরে, আর লোক টি মাথায় একটা আগাত করতেই নীলিমা পড়ে যায় জ্ঞান হারিয়ে,
      জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে আবিষ্কার করে একটি চেয়ারে বসা হাত পা বাধা,আর মুখ টাও,কালো পোষাক পড়া লোকটি একটি ধারালো ছুরি নিয়ে নীলিমার কাছে আসে,আর বলে তোর শরিরের অনেক যৌবন জ্বালা না এখনি মিটিয়ে দিচ্ছি,বলে নীলিমাকে উলঙ্গ করে তার বুকের উপর ছুরি দিয়ে কেটে ব্ল্যাক ভাইরাস নাম টি লেখে,,,তারপর নীলিমা কে এমন ভাবে দরজার সাথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এমন ভাবে বাঁধে কেউ দরজা ধাক্কা দিলেই নীলিমার গলা কেটে পড়ে যাবে,মানে মুন্ডু টা মাটিতে পড়ে যাবে,
      যেই কথা সেই কাজ করে পুলিশ কে মেসেজ পাঠিয়ে চলে যাবে এমন সময় নীলিমা কিছু একটা বলবে তা ইশারায় বুঝায়, কিন্ত কোন কথা শুনে না ব্ল্যাক ভাইরাস,ব্ল্যাক ভাইরাসে প্লান মত কাজ টি হয়ে যায়,দরজা ধাক্কা দেওয়ার সাথে সাথে গলা কেটে মুন্ডু মাটিতে পড়ে মুখ টা কয়েক বার হা করতে থাকে,,,, আর নীলিমার বুকে লেখা ব্লাক ভাইরাস,ব্ল্যাক ভাইরাস খুব প্লান করে কাজ করছে তাই ধরতে হলে পুলিশ কেও প্লান করতে হবে,,,,,নীলিমার বাড়িতে তল্লাশি করতে রানা আসে কিন্ত কিছুই পায় না,কিন্ত বের হয়ে যাবে এমন সময় দরজার কাছে একটা ফোন পড়ে থাকতে দেখে,আর সেই ফোন টি হল,,,,,,দুদু মিয়া বের হয়ে যাবে এমন সময় দরজার কাছেই একটা ফোন পড়ে থাকতে দেখে,ফোন টা খুব চেনা চেনা লাগছে,দুদু মিয়া ফোন টা হাতে নিয়ে এটা তো মাইশার ফোন এখানে কেনো,কিন্ত দুদু মিয়া ফোনটা লুকিয়ে ফেলে কেউ দেখার আগেই,তারপর ফোন টা বাসায় নিয়ে আসে দুদু মিয়া ফোন টা ওপেন করে কিন্ত দুর্ভাগ্য ফোন টা তে কিছুই নেই ফোন টা যে মাইশার তার কোন প্রমাণ নেই,
      দুদু মিয়া মাইশা কে ডাকে,,,,,,, দুদু মিয়া মাইশা কে নিরিবিলি এক জায়গায় তে আসতে বলে,,,,,
      মাইশাও এসে যায় খুশি মনে,,,
      মাইশা এসে দেখে দুদু মিয়া খুব গম্ভীর চিন্তিত,,
      তখন মাইশা জিজ্ঞেস করে,,,, দুদু মিয়া কি হয়েছে তোমাকে এমন চিন্তিত দেখাচ্ছে কেনো, আর কি কারনে আমাকে এখানে ডাকলে,,,
      দুদু মিয়া ; মাইশা তোমার ফোন কোথায়?
      মাইশা খুব বিব্রত হয়ে যায়,,,আর বলে আমার ফোন দিয়ে তুমি কি করবে,,,,
      দুদু মিয়া ; কারন আছে কারন তোমার ফোন টা এখন আমার কাছে,,,,
      মাইশা হেসে কি পাগলের মত বলছো,, আমার ফোন তোমার কাছে কি করে,,,,
      দুদু মিয়া; এটা আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করব মাইশা তোমার ফোন নীলিমার বাসায় গেলো কি করে,,,,
      মাইশা; এবার এটা বলো না আমি ব্ল্যাক ভাইরাস,,,
      দুদু মিয়া; হুম তুমি তাই ব্ল্যাক ভাইরাস,,,
      মাইশা; হাহাহাহা দুদু মিয়া মজা কর না প্লিজ,,,
      দুদু মিয়া; আমি মজ করছি না,তুমি তোমার ফোন দেখাও,,,,
      মাইশা; তুমি নাকি আমার ফোন পাইছো তো দেখাও,
      দুদু মিয়া ; তখন নিজের পকেট থেকে ফোন টা বের করে দেখায়,,,আর বলে দেখছো এটা তোমার ফোন আর এর পিছনে আমি একটা স্টিকার লাগাইছিলাম কলেজে থাকতে যখন আমি দুদু মিয়া ছিলাম,আর তুমি ব্ল্যাক ভাইরাস প্রমাণিত, তাই আমি তোমাকে গ্রেফতার করছি এই মুহূর্তে,,,,,
      মাইশা ; ওয়েট এস আই রানা, আমিও কিছু দেখাই,,,তখন মাইশা নিজের পার্স থেকে সেইম একটা ফোন বের করে দেখায়,,,,,আর বলে এই যে আমার ফোন আর এর পিছনে আপনার লাগানো স্টিকার আছে এই যে দেখেন,,,,,স্যামসাং এরকম একটা ফোন বানাইনি এরকম অনেক ফোন বানাইছে এই মডেলের আর অনেক গ্রাহক কিনেছে তাহলে কি তারাও অপরাধী,,,,
      দুদু মিয়া ; মাইশা তুমি যত চালাকি কর না কেনো,একটা কাজ করতে ভুলে গেছো,,,তাহল তোমার ফোনের সিম,,,,
      মাইশা; হাহাহাহা যে ব্ল্যাক ভাইরাস সে কাঁচা কাজ কি ভাবে করবে,ঐ টা আমি আসার সময় সিম রিপ্লেস করে নিয়ে আসছি,,,,
      দুদু মিয়া তার নিজের ফোন থেকে কল দিয়ে দেখে মাইশার হাতের ফোন বাজছে তার মানে সিম রিপ্লেস করছে,,,,,
      মাইশা তখন একটু পিছিয়ে চিৎকার করে বলল হে আমি ব্ল্যাক ভাইরাস,,,কি করবে আমাকে? কিচ্ছু করতে পারবে না এস আই রানা,আমি লিমন,হিয়া,রাজ,নীলিমা কে মেরেছি তার কারন ওরা অপরাধী ছিলো,ভালবাসার নামে ধর্ষণ, জীবন নস্ট এই গুলা করতো,জীবন নিয়ে খেলতো ওরা তাই আমি ওদের নিজের হাতে শেষ করে দিয়েছি,,,আর ওদের রক্তের ঘ্রাণ নিয়েছি অপরাধীর রক্তের গন্ধ আমার ভাল লাগে,
      দুদু মিয়া ; তুমি তো একটা সাইকো,
      মাইশা/ হুম আমি একটা সাইকো,,,,,আমি পাগল, আমি মানুষিক রোগী হিহিহি কি করবে এখন বলো,,
      দুদু মিয়া; তোমার সময় শেষ সাইকো,,,দুদু মিয়া কোমর থেকে পিস্তল টা বের করে মাইশার দিকে তাক করে ধরে,,,,আমি আগেই টের পেয়ে ছিলাম কিন্ত প্রামনের অভাব ছিলো, কিন্ত এখন সব প্রমান হয়ে গেলো,এই দেখো পেন ক্যামেরা,,,,, এখানে সব আছে,,,,, প্রমাণ করার মত,,,
      মাইশা; বোকা এস আই, তুমি সেই দুদু মিয়া রয়ে গেছো জানু,,,
      কথা টা শুনে দুদু মিয়া অবাক হয়ে যায় পিস্তলের সামনে দাঁড়িয়ে গলা উঁচু করে কথা বলছে,,,,,,
      মাইশা দুদু মিয়ার কাধে হাত দিয়ে হে আমার জানু তুমি কি জানো তোমার প্রিয় মা প্রিয় বোন মানে আমার হবু শাশুড়ী মা, আমার ননদ আমার কাছে,,,খুব আরামে আছে আদরে আছে হবু বউয়ের কাছে,আমি যদি এখন থেকে না যেতে পারি তাহলে কি হবে বুঝতেই পারছো,,,,,,
      দুদু মিয়া; তুমি এত টা নিচ আমার মা বোন কে,,,,,,মাইশা; আমি কত নিচ তা এখনো দেখাইনি,,,, যদি এখন থেকে না যেতে পারি তাহলে বুঝতেই পারছো,,,,।এখন পেন ক্যামেরা টা দিবে আর এখান থেকে আমাকে যেতে দিবে,,
      দুদু মিয়া ;  তুমি যাও,,,,,
      মাইশা; good boy, My love,,,bye bye,,,,,,,,, বলে চলে যায় মাইশা,,,,,তার সাথে দুদু মিয়াও চলে যায় বাসায় আর গিয়ে দেখে মা আর রিমি তো বাসায়,দুদু মিয়ার নিজেই নিজের উপর রাগ হয়,আর বলে আসলেই আমি একটা দুদু মিয়া,
      তখন মা এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে রানা,,,
      দুদু মিয়া; কিছু না মা,তোমাদের একটু সাবধানে থাকতে হবে,,,
      মা; কেনো কি হয়ছে,,,
      দুদু মিয়া; আমি ব্ল্যাক ভাইরাস ধরতে চলেছি তার জন্য,,,
      মা কথা টা শুনে চমকে যায়, আর বলে বাবা তোর ওই সব এর পিছনে না যাওয়াই ভালো,

      দুদু মিয়া ; মা আমি পুলিশ, ভয় পেলে চলবে।
      মা; না আমি চাই না, ঐ ভয়ংকর ব্ল্যাক ভাইরাস কে ধরিস যদি কোন ক্ষতি করে,
      দুদু মিয়া ; মা আমি পুলিশ, ওকে ধরাই আমার কাজ,,,।
      মা; তাহলে চাকরি ছেড়ে দে, তাই তোকে ধরতেও হবে না,তারপর তোর পছন্দ করা মাইশার সাথে বিয়ে দিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে চাই আমরা,
      দুদু মিয়া; কি বললে মা,মাইশা তুমি নাম জানলে কেমন করে,,,
      রিমি; ভাইয়া তোকে তো বলাই হয়নি আজ সকালে মাইশা ভাবি এসেছিলো, তোর পছন্দ আছে ভাইয়া, আর আমদের রান্না করে খাইয়ে গেছে,,,,,
      দুদু মিয়া কথা টা শুনে আশ্চর্য হয়ে যায়,,,,
      আর তার মাকে বলে ঐ মাইশা কে জানো,,,,,,
      দুদু মিয়া তার মাকে মাকে বলে তুমি জানো ঐ মাইশা কে?
      মা; আমাকে জানতে হবে না,কি লক্ষি একটা মেয়ে,,
      দুদু মিয়া ; তুমি যা কে লক্ষি বলছো সে লক্ষি না,,,।
      মা; এই সব কি বলছিস, আমার হবু বউমা কে,,,,
      দুদু মিয়া ; মা বুঝতাছো না,ও আসলে
      মা; ও ব্ল্যাক ভাইরাস,জানি বলবি বউমা বলে গেছে তুই এই সব বলবি,
      দুদু মিয়া ; মা ও আসলেই ব্ল্যাক ভাইরাস,,
      মা; তুই এখন যাবি এখান থেকে,,,
      দুদু মিয়া রেগে যাচ্ছি, বুঝবা সময় হলে তার আগে না,,,,দুদু মিয়া রেগে রুমে চলে গেলো,আর ভাবনার জগতে হারিয়ে গেলো,আসলে মাইশা কি একাই এই কাজ গুলা করছে নাকি সাথে আরও কেউ আছে,,,আর ওর এই সব করার পিছনে কারন টা কি কেনো করছে এই সব,, এমন সময় ফোন টা বেজে উঠে,আর দুদু মিয়া ভাবনার জগত থেকে ফিরে আসে,
      ফোন টা রিসিভ করে,,,
      --হ্যালো কে?---আরে জামাই আমি মাইশা,,--ফোন করেছো কেনো,---প্রেম করতে,--তোমার সাথে আমার হাসাবে না,,,।--আমি হাসির কি এমন বললাম,,--মাইশা তুমি আমার সাথে দেখা করতে পারবা, ---হুম তোমার মত তো আমি দুদু মিয়া,আমি দেখা করতে যাই আর তুমি জেলে ভরো আমাকে,,,,
      ---না তেমন কিছু করব না,শুধু কথা বলব,--সেটা আমার মত করে নিবো,
      ---মানে? --বলছি আমার সুযোগ বুঝে দেখা করব,,--ওকে,,,,,,বলে দুদু মিয়া ফোন টা রেখে দেয়,,,,
      রাত ৩ বাজে দুদু মিয়া ঘুমাচ্ছিলো হঠাৎ ঘুম টা ভেঙে যায়,ঘুম ভেঙে অনুভব করলো হাত পা বাধা,আর কেউ জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে,,দুদু মিয়া তার মা কে ডাকতে যাবে এমন সময় মুখ টা চেপে ধরে মাইশা,,,,,
      মাইশা; এই চুপ আমাদের মাঝখানে মা কে ডাকছো কেনো,,,
      দুদু মিয়া; তুমি এত রাতে এখানে,
      মাইশা; জানি তুমি এটা ভাবতেও পারো নি আমি এত রাতে এখানে থাকবো,তুমি যেটা ভাববে না সেটাই আমি করব,,
      দুদু মিয়া ; আমাকে বাধার কারন?
      মাইশা; আমাকে জেলে ভরতে পারো,তাই প্রটেকশন,
      দুদু মিয়া; খোলে দেও আমার লাগছে?
      মাইশা; প্লিজ বাবু সোনা একটু কস্ট করো না হয় আমার জন্য,,,,কি জন্য ডাকছো তাই বলো,
      দুদু মিয়া; তুমি এমন কেনো,আমাকে কস্ট দিচ্ছো
      মাইশা; আমি এমনি,,এটা কোন কস্ট না,,,
      দুদু মিয়া;? তুমি আমার বাঁধন খোলে দেও,,আমি কিচ্ছু করব না,
      মাইশা; না,
      দুদু মিয়া; প্লিজ বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে কিছু করব না,
      মাইশা; পুলিশ কে বিশ্বাস কোন দিন, বিশ্বাস তো সেদিন উঠে গেছে যে দিন ৫-৬জন মিলে আমাকে ধর্ষণ করেছিলো, গিয়েছিলাম পুলিশের কাছে বিচার চাইতে উল্টো পুলিশ আমাকে বলল আমার নাকি চরিত্র খারাপ,আর পতিতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিলোভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে,
      কথা গুলো শুনে দুদু মিয়া বাকরুদ্ধ হয়ে যায়,কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে,
      আমারও তো স্বপ্ন ছিলো ৮-১০টা মেয়ের মত ছোট্ট একটা সংসার হবে আমার,
      কিন্ত তা কি কোন দিন পারব,,হতে পেরেছি সেট ব্ল্যাক ভাইরাস, হয়ে গেছি সাইকো অপরাধীর রক্তের গন্ধ নিতে আমার ভালো লাগে,নেশা হয়ে গেছে,,,
      আমি আমার কাজ করব দুদু মিয়া আমাকে বাঁধা দিতে আসবে না,
      দুদু মিয়া; তুমি কি এই লাইফ থেকে ফিরে আসতে পারো না,,,,,
      মাইশা; কে করবে আমাকে বিয়ে বলো বলো হাহাহহা,,
      দুদু মিয়া: তখন মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর বলে আমরা বন্ধু হয়ে থাকবো,
      মাইশা; দেখছো তুমিও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো তাহলে ফেসবুকে কেন পোস্ট দেও আমি ধর্ষিতা কে বিয়ে করতে রাজি কিন্ত যে সেচ্ছায় ধর্ষিত হয় তাকে না,,,,,বলো তাহলে এমন টা কেনো বলো,
      দুদু মিয়া তখন বলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি,,।।
      মাইশা; কি বললা বিয়ে করবে আমাকে হাহাহহাহা আর হাসিয়ো না,,,খুব ভালো জোকস বলতে পারো,,,,
      তখন দুদু মিয়ার মা দরজার আড়াল থেকে বের হয়ে এসে বলে দুদু মিয়া হাসাচ্ছে না আমি বলছি,,
      দুদু মিয়া; মা তুমি,,,,
      মাইশাও চুপ করে যায়,,,
      মা; মাইশা তুমি কি রাজি, রানা কে বিয়ে করতে,,,,।
      মাইশা; কিন্ত মা,
      মা; কোন কিন্ত না, তোমাকে যা বলছি তার উত্তর দেও,
      মাইশা; না,আমি রানার জীবন নস্ট করতে চাই না,সবাই যখন জানবে আমি ব্ল্যাক,,,,,,,,?.
      মা; কেউ জানবে না,আমি বলছি,তুমি কি রাজি,,,,,
      মাইশা; তারপরেও না, আমি রানা কে কি দিবো দেবার মত কিছু নেই আমার কাছে, আমার সুখের জন্য রানার,,,,,,,,
      মা; তোমার বাসায় কে কে আছে,,,
      মাইশা;আমার কেউ নেই ৬মাস আগে বাবা মারা গেছে তারপর থেকে আমি একা,
      মা; দেখো মা এই ভাবে জীবন চলবে না,তুমি রাজি হয়ে যাও, আমার রানা তো রাজি, আমি রাজি, তাহলে সমস্যা কোথায়, আর আমরা সব জেনে বুঝে মেনে নিয়েছি,তখন মাইশা চুপ করে আছে কোন কথা নেই,।
      মা জিজ্ঞেস করলো আমি কি বিয়ের আয়োজন করব,তখন মাইশা মাথা টা নাড়িয়ে বলল হে,,,।।রানা; বিয়ে পড়ে আগে আমাকে এই বাঁধন থেকে মুক্ত করো,
      অতঃপর,,,,,আজ রানার আর মাইশার বাসর রাত,,
      ---আচ্ছা মাইশা আজ রাতে মানুষ কি করে,,,,
      মাইশা ; দুদু মিয়া তুমি কিন্ত মাইর খাবা,
      ---আচ্ছা দুদু মিয়া কে?আমি দুদু মিয়া,---এখন কিন্ত সত্যি,,,মাইশার একদম কাছে গিয়ে কি মারবে আমাকে,,,,,দুজনের ঠোঁট একদম কাছাকাছি আস্তে আস্তে দুজনের নিশ্বাস এক হয়ে যাচ্ছে, দুদু মিয়া তার ঠোঁট দিয়ে মাইশার ঠোঁটে ভালবাসার চিহ্ন একে দেয়,মাইশা লজ্জায় মুহূর্তেই মুখ লুকিয়ে ফেলে,,,,দুদু মিয়া বুঝতে পারে মাইশা লজ্জা পাচ্ছে তাই লাইট অফ করে দেয়,তারপর তারপর (বাকিটা ইতিহাস)
      বিঃদ্রঃ গল্পে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন!
      x

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ