Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

জীবন থেকে নেওয়া!



সব মানুষ সবার জীবনে একটা স্বপ্ন থাকে। সবার স্বপ্ন পূরন হয়, আবার পূরন হয় না। এটাই নিয়ম। মানুষ চাই ভালো মতো বাঁচতে, ভালো পড়তে, ভালো খেতে, সবার সাথে ভালো মতো চলতে, ভালো মতো মিশতে কিন্তু কি নিয়ম এর মধ্যে পড়ে যায় তার স্বপ্ন পূরন হওয়ার আগে জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। আজ আপনাদের সামনে এমন একজনার গল্প তুলে ধরব যা আপনাদের জীবন কে পরিবর্তন করতে যদি একটু সাহায্যে করে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব। চলুন শুরু করা যাক এমন একজন এর জীবনি দিয়ে নামটা ছদ্দ নাম ব্যবহার করা হলো।
নাম আশিক। ছোট বেলা থেকে তার জীবনে একটা আশা ছিল সে পুলিশ এর চাকরি করবে। আর তার আব্বুর ইচ্ছা ছিল সে ডাক্তার হবে। কিন্তু আশিক এসব কিছু চিন্তা না করে সে পড়া লেখা করতে লাগলো। স্কুলে যায় বাসায় আসে, সন্ধায় পরতে বসে, রাতে ঘুমিয়ে পড়ে, আবার সকাল হলে স্কুল বাস আসলে আবার স্কুলে চলে যায়। এটাই ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন। এভাবে ক্লাস ৫ পযর্ন্ত সে ক্যাডেট স্কুলে আসা যাওয়া করতে লাগলো। যখন আশিক হাইস্কুলে পর্দাপন করল তখন থেকে আশিক পরিবর্তন হতে শুরু করল। কিছু দিনের মধ্যে সে অনেক বন্ধু যোগার করে। এভাবে সে ক্লাস ৮ অতিক্রম করলো। এর মধো তার বাবার চাকুরীর সুবাদে অন্য স্থানে চলে যেতে হবে। আশিকের বড়ো হয়ে ওঠা ছোট বেলা থেকে পরিচিত হওয়া এই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হলো। নতুন যায়গা নতুন নতুন পরিবেশ আশিকের মানিয়ে নিতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগল। নতুন ভাবে স্কুলে যাওয়া নতুন ভাবে বন্ধু পাওয়া। এভাবে আরো ২ মাস কেটে গেল। এর মাঝে ঘটল একটি ঘটনা। আশিকের স্কুলের কিছু দূরে একটি গার্লস স্কুল আছে। সেই স্কুলের একটি মেয়েকে আশিকের খুব পচ্ছন্দ হয়। মেয়েটার নাম তমা। আশিক মেয়েটির স্কুলের সামনে, বাসায় যাওয়ার পথে দাড়িয়ে থাকে কিন্তু মেয়েটি তার দিকে ফিরে তাকায় না। কি করে তাকাবে আশিক যে কোন সময় তার সাথে কথা বলার সাহস ও পায়নি। এভাবে মাস ২ চলে যায়। একদিন তার বন্ধু বন্ধুদের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু বন্ধুরা বলে আমাদের ভালো হোটেলে খাওয়াতে হবে। আশিক তো পড়ে গেল বিপদে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। আশিক তখন বলল আমার সাথে আগে কথা বলায় না দিলে আমি খাওয়াব না। বন্ধুরা বলল আচ্ছা ঠিক আছে। 

তার পরের দিন সেই মেয়ে বিকাল বেলা তাদের বাড়ির পাশে ঘুরতে বের হয়। আশিক আর তার বন্ধুরাও সেখানে যায়। যাওয়ার পরে সেই মেয়ের সাথে বন্ধুরা কথা বলে। আশিক দুরে দাড়িয়ে ছিল। কিছুক্ষণ পর একজন বন্ধু এসে আশিক কে বলে চল কথা বলবে তোর সাথে। আশিক ভয়তে ভয়তে সেখানে গেল। যাওয়ার পর বন্ধুরা বলল তোরা কথা বল আমরা পাশে আছি। এ বলে তারা চলে গেল। আশিক বলল আমার নাম আশিক আপনার না। মেয়েটি বলল আমার নাম পরে বলবো। পআশিক কিছুক্ষন কথা বলতে বলতে মেয়েটি বলল আমি এখন বাসায় যাব। আশিক বলল আচ্ছা যান আবার দেখা হবে আগামীকাল আপনি যখন স্কুলে যাবেন আমি ওপেক্ষা করব। 

তার পরের দিন যখন সে স্কুলের সামনে দাড়িয়ে থাকল মেয়েটি আসল না। ৪ থেকে ৫ দিন হলো মেয়েটি স্কুলে যায়ও না। আশিক তো পাগলের মতো হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গেছে। সে আর কিছু না ভেবে মেয়েটির বাড়ির সামনে যায় আসে। কিছুদিন যাওয়ার পরে আাশিক ঐ মেয়েটির বান্ধবীকে জিজ্ঞাসা করল আপনার বান্ধবী কোথায় সে স্কুলেও আসেনা। কি হয়ছে। তখন বান্ধবী বলল ও কে তমা। আশিক এই প্রথম মেয়েটির নাম তমা সটা জানল। হ্যা তমা কেথায়? কেন আপনি জানেন না তমা মারা গেছে। আশিক তো হতভম্ব হয়ে গেল। কি ভাবে হলো। কারেন্ট এর শর্ট এ মারা গেছে।

আর এখান থেকেই আশিকের অধপতন হতে শুরু হলো। কারো সাথে কথা বলে না ঠিক মত খায় না, ঘুমায় না, নেশার জগতে আশিক এখন সেরা। এভাবে অনেক দিন যাওয়ার পরে আশিক হঠাৎ একদিন আত্মহত্যা করলো নিজের ঘরের ভিতরে। আর এখানেই শেষ হলো আশিক এর জীবন কাহিনী।

এখন আপনারাই বলুন সত্যি কারের ভালবাসা কখনো মরে। যেখানে আশিক আর তমা একদিনই কথা বলেছিল। আশিক মেয়েটির নাম তমা তাও জানতনা। কখন কি ভাবে কি হয় জীবনে কেও জানে না। 

একটি কথা বলি কেউ কখনো জীবন ধৃবংস না করে ভালবাসার মানুষের স্মৃতি ধরে বেচে থাকুন।

আপনারা চাইলে এমন ঘটনা আমি জোগার করে আপনাদের কাছে নিয়ে আসব যদি আপনারা আমার পাশে থাকেন। তাহলে কমেন্ট করুন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ