কখনও একসাথে কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করে দেখেছেন? কেমন লাগে এভাবে কয়েকটা কাজ একসাথে করতে? গোলমাল লাগে? নাকি লাগে না?
একসাথে কয়েকটা কাজ করাকে বলা হয় “মাল্টিটাস্কিং”, আর কাজ করতে গিয়ে যে গোলমাল লাগে, গবেষকগণ তাকে বলছেন “ইন্টারফিয়ারেন্স”। কিন্তু গবেষকগণ হঠাৎ করে এই ব্যাপারগুলোর এরকম নামকরণ করতে গেলেন কেন? এটা নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কী? হুম হয়েছে বৈ কি… গত বছরেই এটা নিয়ে একটা পেপার দেখেছিলাম। সেদিন একজনের সাথে কথা হল, বললেন তিনি নাকি সবসময় মাল্টিটাস্কিং করেন, এটা নাকি তার বদ অভ্যাস। আমি বললাম, আরে এখানে বদ অভ্যাসের কিছু নেই, অনেকেই এটা ভালোভাবে করতে পারেন। আর নারীরা এক্ষেত্রে পটু (তিনি নারীই ছিলেন)। এরপর তিনি বিষয়টা নিয়ে লিখতে বলায় আজকের এই লেখাটি. লেখা আরকি…
যাই হোক সেই গবেষণার দিকে ফিরে যাওয়া যাক। সেটায় বলা হচ্ছে, একাধিক কাজ করার ক্ষেত্রে কাজগুলোর মধ্যে যে ইন্টারফিয়ারেন্স তৈরি হয় তা পুরুষের তুলনায় নারীকে কম প্রভাবিত করে। অর্থাৎ একজন নারীর পক্ষে মাল্টিটাস্কিং করা সহজ, কিন্তু পুরুষকে এটা করতে গেলে প্রায়ই হয়তো আটকে যেতে হবে। পেপারটিতে আরও বলা হয়, নারী ও পুরুষের এই বিশেষ আচরণগত পার্থক্যের ক্ষেত্রে হরমোনসমূহ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে।
আমরা জানি, পুরুষের ক্ষেত্রে এস্ট্রোজেন এর মাত্রা অনেক কম থাকে, অন্যদিকে মেনোপোজের
পূর্বে নারীর ক্ষেত্রে এই হরমোনটির আধিক্য দেখা যায়। গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষেরা যদি হাঁটতে হাঁটতে কোন কঠিন বাচনিক বা ভার্বাল কাজ করেন, তাহলে ইন্টারফিয়ারেন্সের কারণে তাদের হাঁটার ধরণে পরিবর্তন হয়ে যায়। এদিকে যেসব নারী মেনোপোজে পৌঁছাননি, তাদের বেলায় হাঁটতে হাঁটতে কোন ভার্বাল টাস্ক করার সময় কোন রকম ইন্টারফিয়ারেন্স লক্ষ্য করা যায় নি।
বিজ্ঞানমহলে একটা হাইপোথিসিজ বেশ প্রচলিত ছিল। এটা অনুসারে, মানুষের ডান হাত দোলানোর কাজটি নিয়ন্ত্রণ করে মানব-মস্তিষ্কের বাম অর্ধাংশ বা লেফট হেমিস্ফিয়ার, যদি মস্তিষ্কের এই অংশটিকে অন্য কোন কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে এই কাজটি ডান হাত দোলানোর কাজকে বাঁধা দেবে, কারণ মস্তিষ্কের সেই অঞ্চলের কিছু অংশ এখন আরেকটি কাজ করছে। যাই হোক, এই হাইপোথিসিজটির সত্যতা কতটুকু, তা জানতেই গবেষণাটি করা হয়েছিল। এটি রয়াল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নাল -এ এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। গবেষকগণ অবাক হয়ে দেখলেন, এই বাঁধাটি ষাট বছরের বেশি নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে কাজ করে ঠিকই, কিন্তু ষাট বছরের কম বয়সী নারীদের বেলায় বাঁধাটি কাজ করে না।
কখনও একসাথে কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করে দেখেছেন? কেমন লাগে এভাবে কয়েকটা কাজ একসাথে করতে? গোলমাল লাগে? নাকি লাগে না?
একসাথে কয়েকটা কাজ করাকে বলা হয় “মাল্টিটাস্কিং”, আর কাজ করতে গিয়ে যে গোলমাল লাগে, গবেষকগণ তাকে বলছেন “ইন্টারফিয়ারেন্স”। কিন্তু গবেষকগণ হঠাৎ করে এই ব্যাপারগুলোর এরকম নামকরণ করতে গেলেন কেন? এটা নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কী? হুম হয়েছে বৈ কি… গত বছরেই এটা নিয়ে একটা পেপার দেখেছিলাম। সেদিন একজনের সাথে কথা হল, বললেন তিনি নাকি সবসময় মাল্টিটাস্কিং করেন, এটা নাকি তার বদ অভ্যাস। আমি বললাম, আরে এখানে বদ অভ্যাসের কিছু নেই, অনেকেই এটা ভালোভাবে করতে পারেন। আর নারীরা এক্ষেত্রে পটু (তিনি নারীই ছিলেন)। এরপর তিনি বিষয়টা নিয়ে লিখতে বলায় আজকের এই লেখাটি. লেখা আরকি…
যাই হোক সেই গবেষণার দিকে ফিরে যাওয়া যাক। সেটায় বলা হচ্ছে, একাধিক কাজ করার ক্ষেত্রে কাজগুলোর মধ্যে যে ইন্টারফিয়ারেন্স তৈরি হয় তা পুরুষের তুলনায় নারীকে কম প্রভাবিত করে। অর্থাৎ একজন নারীর পক্ষে মাল্টিটাস্কিং করা সহজ, কিন্তু পুরুষকে এটা করতে গেলে প্রায়ই হয়তো আটকে যেতে হবে। পেপারটিতে আরও বলা হয়, নারী ও পুরুষের এই বিশেষ আচরণগত পার্থক্যের ক্ষেত্রে হরমোনসমূহ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে।
আমরা জানি, পুরুষের ক্ষেত্রে এস্ট্রোজেন এর মাত্রা অনেক কম থাকে, অন্যদিকে মেনোপোজের
পূর্বে নারীর ক্ষেত্রে এই হরমোনটির আধিক্য দেখা যায়। গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষেরা যদি হাঁটতে হাঁটতে কোন কঠিন বাচনিক বা ভার্বাল কাজ করেন, তাহলে ইন্টারফিয়ারেন্সের কারণে তাদের হাঁটার ধরণে পরিবর্তন হয়ে যায়। এদিকে যেসব নারী মেনোপোজে পৌঁছাননি, তাদের বেলায় হাঁটতে হাঁটতে কোন ভার্বাল টাস্ক করার সময় কোন রকম ইন্টারফিয়ারেন্স লক্ষ্য করা যায় নি।
বিজ্ঞানমহলে একটা হাইপোথিসিজ বেশ প্রচলিত ছিল। এটা অনুসারে, মানুষের ডান হাত দোলানোর কাজটি নিয়ন্ত্রণ করে মানব-মস্তিষ্কের বাম অর্ধাংশ বা লেফট হেমিস্ফিয়ার, যদি মস্তিষ্কের এই অংশটিকে অন্য কোন কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে এই কাজটি ডান হাত দোলানোর কাজকে বাঁধা দেবে, কারণ মস্তিষ্কের সেই অঞ্চলের কিছু অংশ এখন আরেকটি কাজ করছে। যাই হোক, এই হাইপোথিসিজটির সত্যতা কতটুকু, তা জানতেই গবেষণাটি করা হয়েছিল। এটি রয়াল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নাল -এ এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। গবেষকগণ অবাক হয়ে দেখলেন, এই বাঁধাটি ষাট বছরের বেশি নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে কাজ করে ঠিকই, কিন্তু ষাট বছরের কম বয়সী নারীদের বেলায় বাঁধাটি কাজ করে না।
0 মন্তব্যসমূহ