২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন (৬ এপ্রিল) নুসরাত রাফির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় খুনিরা। পরে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুসরাত মারা যান। ফলে কোরআন ও হাদিস বিষয়ের ওই একটি পরীক্ষা বাদে বাকি পরীক্ষাগুলো দেওয়া হয়নি তার।
উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের (আলিম) একটি মাত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেতে পেরেছিলেন ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। কোরআন মাজিদ ও হাদিস বিষয়ের ওই পরীক্ষায় তিনি ‘এ’ গ্রেড পেয়েছেন। বাকি পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিতে না পারায় তাকে অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।
এর আগে, গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফিকে মাদরাসার ছাদে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা। সেখানে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর চারদিন পর ১০ এপ্রিল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাফি মারা যান।
ফলাফল প্রকাশের দিনে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আজ বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামশ জগলুল হোসেনের আদালতে বেলা ২টায় এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৬ জুন শাহবাগ থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে সোনাগাজী সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে ওসি মোয়াজ্জেম নিয়ম ভেঙে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন
।
।
0 মন্তব্যসমূহ